পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার উদ‍্যোগে দরিদ্র মানুষের হাতে দেওয়া হল খাদ‍্য সামগ্ৰী

2nd May 2020 বর্ধমান
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার উদ‍্যোগে দরিদ্র মানুষের হাতে দেওয়া হল খাদ‍্য সামগ্ৰী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মন্তেশ্বর ) : জেলায় জেলায় রেশন নিয়ে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই সময়েই রেশন না পাওয়া মানুষজনের পাশে দাঁড়ালেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।শনিবার সেইসব অসহায় দুঃস্থ পরিবারের লোকজনের হাতে  নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য তুলে দিলেন তারা।স্বাভাবিক কারণেই পুলিশের এহেন মানবিক আচরণে খুশী তারা।শুধু তাই নয় রেশন না পাওয়া মানুষজন যাতে রেশন পান সেই বিষয়টিও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন বলে জানান মন্তেশ্বরের এক পুলিশ অফিসার।
                             স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায় যে,মন্তেশ্বরের বেশ কয়েকটি পন্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু মানুষ রেশন পাচ্ছেন না।কারন তাদের কারো রেশন কার্ড হারিয়ে গেছে,অথবা কেউ কয়েকদিন আগে নতুন কার্ডের জন্য আবেদন করলেও তিনি যেমন নতুন কার্ডও পাননি আবার ফুড কুপণও পাননি,আবার কেউ অন্য জায়গা থেকে এসে কার্ড স্থানান্তরিত করার জন্য আবেদন করেছেন বটে কিন্তু হাতে এখনো রেশন কার্ড পাননি।এমতাবস্থায় তারা রেশন দ্রব্য পাচ্ছেন না।এইরকমই এক কঠিণ পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।এরপরেই তাদের রেশন কার্ডের জন্য আবেদনের অন্যান্য কাগজপত্র দেখেন ও বিষয়টি ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দেন মন্তেশ্বর থানার ওসি সৈকত মন্ডল।পাশাপাশি এইদিন এইরকমই আঠারোটি পরিবারকে থানায় ডেকে তাদের হাতে চাল, ডাল, আটা, তেল,সয়াবিন তুলে দেন।এইরকম আরো বেশ কিছু পরিবার আছে তাদেরকেও এইভাবেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে জানান ওসি সৈকত মন্ডল।মন্তেশ্বরের দুয়ারি গ্রামের বাসিন্দা সুমিত্রা সাঁতরা বলেন,‘পূর্বস্থলী থেকে আমরা এসেছি।রেশন কার্ড স্থানান্তরিত করার জন্য আবেদনও করেছি।কার্ড পাইনি।তিনবছর হোলো রেশন পাচ্ছি না।বাড়িতে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন।সাংসারিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় মন্তেশ্বরের বড়োবাবু আমাদের ডেকে সাহায্য করলেন।অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ওনাকে।’বাঘাসনের প্রৌঢ়া বাসিন্দা সরস্বতী মাঝি বলেন,‘রেশন কার্ড হারিয়ে ফেলায় রেশন পাই না।মন্তেশ্বর থানা থেকে চাল ও অনেক কিছুই ওনারা আজ দিলেন।’পুলিশের এহেন মানবিকতার সাক্ষী থাকলেন অনেকেই।যদিও পুলিশ জানায় আগামীদিনে যাতে তারা রেশন পান প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সেই ব্যবস্থাই করা হবে।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।